৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠিত করে ‘জিয়া পরিষদ’ গঠনের প্রয়োজনীয়তা গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই আলোচনায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ‘জিয়া পরিষদ’ থেকে এই ব্যাংকে কোনো ইউনিট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অথচ, বর্তমানে একটি স্বার্থান্বেষী মহল অনুমোদনহীন ভুয়া কমিটি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনভিত্তিক কিছু মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ‘জিয়া পরিষদ’ নাম ব্যবহার করে এ ভুয়া কমিটির কিছু সদস্য নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিএনপির নাম ভাঙিয়ে নিজেদের সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে। বিষয়টি দলীয় ভাবমূর্তির জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মনে করছেন জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী নেতাকর্মীরা।

সূত্র মতে, সম্প্রতি এই ভুয়া কমিটির নামে একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একটি অননুমোদিত সিবিএ কমিটির সাবেক সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ। ওই সভায় উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাহিদ হোসেনকে প্রধান উপদেষ্টা করে ২৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ এবং সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জাহেদকে সভাপতি ও অননুমোদিত সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘জিয়া পরিষদ’ প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ঘোষিত এই ভুয়া কমিটির অন্তত ১৫-১৬ জন সদস্য স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদসহ বিভিন্ন আওয়ামীপন্থী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। এমনকি এই কমিটির অন্তত সাতজন সদস্য হত্যা মামলার আসামি এবং বর্তমানে কোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন বলেও জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নেতারা মুখে বলেন স্বৈরাচার ও আওয়ামী দোসরদের বিএনপিতে জায়গা নেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, নিজেদের স্বার্থে অনেকেই এসব সুযোগসন্ধানীদের দলে ভিড়িয়ে নিচ্ছেন। আজ যারা আওয়ামী আমলে সুবিধা নিয়েছে, তারাই এখন বিএনপির নেতা সেজে ঘুরছে। ত্যাগী কর্মীরা এমন পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রকৃত জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ‘জিয়া পরিষদ’ কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের কোনো কমিটি অবৈধ এবং এসব অপচেষ্টা রুখতে তারা কঠোর অবস্থান নেবেন। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং তারা দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।